
প্রকাশিত: Thu, Dec 8, 2022 6:41 PM আপডেট: Sun, Jun 22, 2025 6:52 AM
রাজনীতির পথ রাতারাতি ‘কেল্লাফতে’ করার বিষয় নয়
প্রকৌশলী ম ইনামুল হক: রাজনীতির পথ রাতারাতি ‘কেল্লা ফতে’ করার বিষয় নয়। কথাটি বললাম বটে, কিন্তু কয়জন সেটা বোঝেই? যারা এর আগে ক্ষমতার কাছাকাছি থেকেছেন তারা অবশ্য সেরকমই বোঝেন। আমাদের দেশে অযোগ্য, চাটুকারবেষ্টিত মডেল নেতারা ক্ষমতায় গেছেন, দুর্নীতিবাজ আমলা আর লুটপাটকারী ব্যবসায়ীদের উপর নির্ভর করে দেশের বারোটা বাজিয়েছেন, দেশের মানুষের নামে ঋণ নিয়ে সাঙ্গপাঙ্গদের দিয়ে পাচার করেছেন। তাদের দেখাদেখি আমাদের দেশের বিপ্লবীরাও কর্পোরেট মিডিয়ার মডেল হয়ে ক্ষমতার কাছাকাছি যাবার স্বপ্ন দেখছেন। এই ভাবেই বিগত দু’এক বছরে বেশ ক’টি সংগঠন আন্দোলন থেকে রাতারাতি রাজনৈতিক দল হয়েছে। রাজনৈতিক দল এবং সংগঠন ভিন্ন ব্যাপার। দল এগিয়ে যায় নেতার ভাবমূর্তিতে, সংগঠন এগোয় নেতার পরিশ্রমে। দলের তিনটি পর্যায়, এক সংগঠন গড়ে তোলা, দুই মাঠের কাজ, তিন অর্জিত ক্ষমতা প্রয়োগ। তিন পর্যায়েই নেতার ভাবমূর্তি জরুরি, তবে প্রথম পর্যায়ে পরিশ্রম, দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রজ্ঞা ও তৃতীয় পর্যায়ে দূরদর্শিতা জরুরি।
তাই প্রথম পর্যায়ে নেতার বা দলের ভুলত্রুটি প্রধান বিষয় নয়, বিষয় হচ্ছে নেতা ও দলের লোকজনের পরিশ্রম। দ্বিতীয় পর্যায়ে সমর্থক, কর্মী-নেতার বা দলের ভুলত্রুটি হলেও সেগুলো প্রজ্ঞার সাথে দেখতে হয়। নেতা প্রজ্ঞাবান হলে তিনি সবকিছু বিবেচনা করে দলকে এগিয়ে নেবেন, নয়তো দল প্রজ্ঞাবান ব্যক্তির নেতৃত্বে চলে যাবে। আর দলে বা সমর্থক কর্মীদের মধ্যে যদি প্রজ্ঞাবান ব্যক্তি না থাকেন, তাহলে দল সঠিক পদক্ষেপ নিতে না পেরে পিছিয়ে যাবে। বাংলাদেশে নিবন্ধিত, অনিবন্ধিত, ডান, বাম, মধ্যপন্থী অনেক দলের সাথে আমরাও আছি। ২০১৪ সাল থেকে শুরু করে আমরা এখন দ্বিতীয় পর্যায়ে কাজ করছি সরাসরি মাঠে। তবে আমাদের কর্মকাণ্ডকে মিডিয়া এড়িয়ে যায়, কারণ আমরা তাদের মডেল হতে চাই না। বিপ্লবীরা আমাদের পাত্তাই দেন না। কিন্তু আমরা দ্বিচারিতা করে লুটপাটকারী আওয়ামী বা বিএনপির লেজুড় হবো না। আমরা জনগণের স্বার্থে কাজ করে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য বিকল্প হয়েই ছাড়বো। লেখক : আহ্বায়ক, সর্বজন বিপ্লবী দল। ফেসবুক থেকে
আরও সংবাদ
চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে
‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!
কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!
সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি
ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
মতিউর প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮৩ ব্যাচের বন্ধুদের গ্রুপে সৎ জীবন যাপনের উপদেশ দিতেন!

চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে

‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!

কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!

সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি

ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
